আজ এতবছর পর আমরা জানি…না কংগ্রেস কোনও আন্দোলন করেছিল ৪২ এর পর, না সিপিআই । আজাদ হিন্দ বাহিনীর আত্মদানের ইতিহাস দেশবাসী যখন জানলো তখন তারা হেরে গিয়ে বন্দি হয়ে বিচারাধীন । তার মধ্যে হয়ে গেছে নীলগঞ্জ ম্যাসাকার । আগুন লেগে গেল ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান নেভি আর এয়ারফোর্স এ । তারা তাণ্ডব চালায় ব্রিটিশ দের উপর । ব্রিটিশ অফিসার রা বারবার আকুতি জানিয়ে নোট পাঠায় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এ…একটা দিন ও তাদের কাছে সেফ নয় । নৌ সেনারা নেতৃত্ব দেওয়ার আবেদন করলেও সারা দেয়নি কেও । উল্টে কেউ কেউ লেগে গিয়েছিল তাদের দমন করার ব্রিটিশ অপচেষ্টার শরিক হতে । নৌ সেনারা কার ছবি সামনে রেখে সংগ্রাম করছিল? তাদের, আমাদের, ভারতের চিরকালের মহানেতা নেতাজী সুভাষ । Dominion status পেয়ে তাকে স্বাধীনতা বলে ব্রিটিশদের জুতোর ফিতে তে নিজেদের বেঁধে বড় বড় নেতারা বড় বড় পদ নিয়ে জমিদারী প্রতিষ্ঠা করল ।
সেই জমিদারী আজও আছে চলছে । আমরা সাধারণ মানুষ দেখতে পাচ্ছি না । আমি আপনি কি নির্বাচন করি সরকার? আমি আপনি কি সত্যি কোনও ফ্যাক্টর? জমিদারি চলে শিক্ষায় নয়, সংখ্যায় আর এই সংখ্যা টাকায় মেলে । জনমত বিক্রি হয় আর জনতা উদাস হয় । সত্য আর অসত্যের হিসেব হয় পয়সায় । ধর্মাবতারও ঘুষ খায় , বাকি সব জায়গা তো ছেড়ে দিন ।বুদ্ধিজীবীরা বন্ধক দেয় , মোমবাতি জমিয়ে রাখে সুযোগ o নির্দেশের অপেক্ষ্যায়।
আমাদের দরকার নেতাজির আদর্শ ও তার স্বপ্ন কে সামনে রেখে মানুষ তৈরি করা যারা আগুনের মত ছড়াতে থাকবে তার আদর্শ কে । নতুন করে জন্ম নেবে এক ভারত যেখানে অন্য সব পরিচয়ের আগে আমরা ভারতীয় হিসেবে ভাবব । থাকবে না ধর্মীয় বিভাজন, জাতিগত বিদ্বেষ বা লিঙ্গ বৈষম্য । সেই সোনার ভারতই হোক আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ।